আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে আলপনায় সাজানো হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে। পাশাপাশি লাল-নীল-সবুজ বাতি লাগানো হয়েছে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের চারপাশে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (জবিসাক) সদস্যরা শনিবার মধ্যরাতে আল্পনা আঁকেন।
জবিসাকের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সব সময়ই অমর একুশে পালন করে আসছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ছয়টি সংগঠন নিয়ে সমন্বিতভাবে অমর একুশে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘তার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা আলপনার তুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজিয়ে তুলেছে। তা ছাড়া একুশের প্রথম প্রহর পালনে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা অংশগ্রহণ করে একুশের ভাষা শহীদের স্মরণ করবে।’
ছয় সংগঠনের কর্মসূচি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক ভবন প্রাঙ্গণে রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিভিন্ন আয়োজন শুরু করবে ছয়টি সাংস্কৃতিক সংগঠন। আয়োজনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘চেতনায় একুশ’।
এতে অংশ নেবে জবিসাক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাইম সোসাইটি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জবি সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি (জবিরঙ্গ) ও মুক্তমঞ্চ পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন জবি আবৃত্তি সংসদের ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম জুয়েল।
আয়োজনে সভাপতিত্ব করবেন জবি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।
কর্মসূচির বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আনন্যামা নাসুহা নুহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলা ভাষা, তাদের স্মরণ ও সম্মান করতে প্রতি বছরই আমরা একুশের অনুষ্ঠান করে থাকি। এবার ৬টি সংগঠনের একসঙ্গে অনুষ্ঠান হচ্ছে। এবার আশা করি সশরীরে সবাই সুন্দরভাবে অংশ নিতে এবং উপভোগ করতে পারবেন।’