দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিন চৌধুরীর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টকে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার সকালে এ চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।
শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় আদেশ এবং চাকরিচ্যুতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও চিঠি দেয়া হয়েছে।
১০ আইনজীবীর পক্ষে এ চিঠি পাঠিয়েছেন শিশির মনির।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, সদ্য বরখাস্ত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট রুলস ১৯৭২-এর ১১ক অধ্যায়ের বিধি ১০ অনুযায়ী চিঠি পাঠিয়েছি। সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদন হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আদেশ প্রদানের দাবি করেছি।’
পাঠানো চিঠিকে আবেদন হিসেবে নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রার্থনা করেছেন ওই ১০ আইনজীবী।
এ ক্ষেত্রে ১৯৬০ সালের এক মামলায় ভারতে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিলেন সন্তানহারা মা নীলাবতি বেহারা। সে চিঠির ভিত্তিতে তিনি ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন। তা ছাড়া পত্রিকার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনেক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি হয়েছে এবং বিচারও হয়েছে।
জেল থেকে পাঠানো চিঠি জেল আপিল হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে আদেশ চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী শিশির মনির ছাড়া অন্যরা হলেন রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আব্দুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
শরীফ দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে থাকার সময় নানা তদন্ত চালিয়ে আলোচিত হন। তাকে সেখান থেকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণের কারণ ব্যাখ্যা করেনি সংস্থাটি। তবে জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু অভিযোগ ছিল, উচ্চ আদালতের অসন্তোষ ছিল।