বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী অভিবাসীদের নিয়ে ৭৯ শতাংশ খবর নেতিবাচক: গবেষণা

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:১০

গবেষণায় উঠে এসেছে, অভিবাসন নিয়ে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত বা প্রচারিত খবরের ৬৪ ভাগই নেতিবাচক। এর মধ্যে নারী অভিবাসীদের ৭৯ শতাংশ এবং পুরুষদের ৬৭ শতাংশ খবরই নেতিবাচক।

অভিবাসন নিয়ে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত বা প্রচারিত খবরের ৬৪ ভাগই নেতিবাচক বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এত বলা হয়েছে, এসব খবরের মধ্যে নারী অভিবাসীদের ৭৯ শতাংশ এবং পুরুষদের ৬৭ শতাংশ খবরই নেতিবাচক।

শনিবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্ট্রিগেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) ও দৃষ্টি রিসার্চ সেন্টার আয়োজনে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

তিনি বলেন, ‘সমস্যা আছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। আবার সমস্যাগুলো প্রচারেও আপত্তি নেই। কারণ সেগুলো সত্য। তবে সমস্যার পাশাপাশি আরও অনেক সত্য আছে। সাফল্য আছে। সেগুলোও প্রচার হওয়া দরকার।’

সব পর্যায়ে সমন্বিতভাবে এই দায়িত্ব পালন করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে মূল গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।

মূল প্রবন্ধে নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘নারী অভিবাসীদের সমস্যা বিষয়ক সংবাদগুলোতে নির্মম আচরণ, পঙ্গু, দাসত্ব, যৌন নির্যাতন, ভয়ংকর নির্যাতন, ভাগ্যহীন, যৌন ব্যবসা, গায়ে আগুন দেয়া, গরম পানি দেয়াসহ আরও অনেক নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয়।’

শব্দগুলো পরিবর্তন করে অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করা যায় কিনা তা বিবেচনা করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

নাজনীন বলেন, ‘কাউকে নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হলে তার নতুন করে হয়রানিতে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া ভবিষ্যত অভিবাসীদের মধ্যে ভীতি বা শঙ্কা তৈরি হয়। এতে দেশের সুযোগগুলো নষ্ট হচ্ছে কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার।’

গবেষণায় জানানো হয়, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখের বেশি নারী প্রবাসে কাজের জন্য গিয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ ভাগই গেছেন সৌদি আরবে। ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরব এক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে নারী অভিবাসী নিচ্ছে। কিন্তু সৌদি আরবেই নারী কর্মীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় বেশি।

র‌্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, ‘নারী অভিবাসন নিয়ে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি নীতি দরকার। আগামীতে প্রবাসী কর্মসংস্থানে নারীদের চাহিদা বাড়বে। ফলে প্রবাসে কর্মীর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সব খবর গণমাধ্যম প্রকাশ করবে। তবে সেক্ষেত্রে উদ্দেশ্য হতে হবে ইতিবাচক। প্রকৃত ঘটনা বা তথ্য অবশ্যই প্রচার করতে হবে। তবে তার উদ্দেশ্য বা উপস্থাপনের ভঙ্গিতে যেন পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।’

ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি উপদেষ্টা ইগোর বস, গবেষণা সংস্থা দৃষ্টি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক থেরেসে ব্লঁশে, র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. আবু ইউসুফ, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্টার আরাফাত আরা বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর