নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে চক্রান্তের মিটিং চলছে বলে জানিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
নারায়ণগঞ্জে শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে নগরীর সরকারি গ্রন্থাগারে এক আলোচনা সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগেই আমি গন্ধ পাই। আমি আগাম যা বলি, পরে তা হয়। আমি জানি, গতকাল গাজীপুরের কোথায় মিটিং হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের কোথায় মিটিং হয়েছে। পতিতালয় উচ্ছেদ, গোলাম আযমকে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ করার কারণে আমি টার্গেট হয়েছি। সেদিনের শত্রুরা নেই কিন্তু তাদের তাঁবেদাররা এখন আমাকে টার্গেট করছে।
‘নারায়ণগঞ্জে খান সাহেব ওসমান আলীর বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। সে তথ্য স্মরণে রাখতে হবে। আপনারা যদি খেলতে চান, আসেন খেলি। আমিও খেলতে চাই।’
রাজনীতির জন্য ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বহু কষ্টে একটা বিয়ে করেছি। বিয়ের আগের দিন, মা যখন বললেন বাসা থেকে বের হবি না তখন শুনলাম নেত্রীর ওপর গুলি হয়েছে। শুনেই বাইরে বের হলাম। পুলিশ চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেললে তখন বললাম আজকে অ্যারেস্ট কইরেন না, কাল আমার বিয়ে। পরে ছাড়া পেয়ে বিয়ে করি। বাচ্চা জন্মের সময়ও আমি জেলে ছিলাম। আমাদের জন্মের সময়ও আমার বাবা জেলে ছিলেন।’
শামীম ওসমান বলেন, 'জনগণের ভোটে পাস করেছি, তাই আমাদের দায়িত্ব কাজ করা। নারায়ণগঞ্জের ৯০ শতাংশ কাজ আমাদের হাত দিয়ে হয়েছে। তোলারাম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য পদত্যাগ করেছিলাম। ডিএনডির জন্য সংসদে মন্ত্রীকে বলেছিলাম আমি পদত্যাগ করব, না হয় আপনি পদত্যাগ করবেন।’
জেলা প্রশাসকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মনে করবেন এটা আপনাদের এলাকা। এমনভাবে কাজ করবেন, যেন আপনি চলে গেলে চোখে পানি আসে। ইচ্ছে করলে কাগজে সই করে চলে যেতে পারেন অথবা আমাকে কাজে লাগাতে পারেন।
‘আপনি এখানে কাজের জন্য এসেছেন। আপনার টিমটা খুব ভালো। আমাকে এক-দুই মাস পরে হয়তো এভাবে পাবেন না। আমি তখন রাস্তায় থাকব, আমরা রাস্তায় থাকার লোক।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদ পারভেজ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম, জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।