বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজ ভাষায় প্রাথমিকে পড়তে চান পাহাড়িরা

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৪০

জিকো চাকমা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর হতে চললেও এ দেশের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কড়া রোদে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের কাছে অনুনয়, বিনয় করতে হয়, দাবি জানাতে হয় যে নিজেদের মাতৃভাষায় অন্তত প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার সুযোগ দিন। এটা যতটা না হতাশার, ততটা লজ্জার।’

প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সুনিশ্চিত করে দেশের সব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুর দাবিতে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের গেটের সামনে শনিবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী।

পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন মারমা বলেন, ‘ভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থা জীর্ণশীর্ণ। ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার মাধ্যমে পড়ালেখার কথা বলা থাকলেও বাস্তবে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না।

‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নসহ সব আদিবাসীর প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ চালু করতে হবে।’

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ভাষা একটি জাতির অস্তিত্বের পরিচয় বহন করে। একুশের চেতনা হলো সব ভাষাকে সম্মান করা কিন্তু বাঙালিরা আমাদের নানা ভাবে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে। সব সময় আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা (নান্টু)।

পিসিপির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সহসভাপতি জিকো চাকমা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর হতে চললেও এ দেশের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের কড়া রোদে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের কাছে অনুনয়, বিনয় করতে হয়, দাবি জানাতে হয় যে নিজেদের মাতৃভাষায় অন্তত প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার সুযোগ দিন। এটা যতটা না হতাশার, ততটা লজ্জার।’

এ বিভাগের আরো খবর