বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজউকের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের অনুমতি ভোগান্তি বাড়াবে: রিহ্যাব

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:২৮

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘দুটি প্রশাসনকে একটি কাজের দায়িত্ব দিলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। এমনিতে রাজউকে ভবনের নকশা পাস করতে গেলে মানুষকে হয়রানি পোহাতে হয়। সেখানে নতুন এ সিদ্ধান্ত কাজের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা ও ব্যয় সবই বাড়াবে।’

ভবন নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ভোগান্তি ও ব্যয় বাড়বে। আবাসন ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিগত ভবন তৈরির জন্য বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে শনিবার এ কথা বলেন রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন।

এসময় রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ ও সহ-সভাপতি (ফিন্যান্স) প্রকৌলশী মোহাম্মদ সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীতে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণে রাজউকের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনেরও অনুমোদন নিতে হবে। শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না, সিটি করপোরেশনকে অনুমোদন করা স্থাপনা নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থাও রাখতে হবে।’

এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন রিহ্যাব নেতারা।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘দুটি প্রশাসনকে একটি কাজের দায়িত্ব দিলে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। ফাইল ছোড়াছুড়ির নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। এমনিতে রাজউকে ভবনের নকশা পাস করতে গেলে মানুষকে হয়রানি পোহাতে হয়। সেখানে নতুন এ সিদ্ধান্ত কাজের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা ও ব্যয় সবই বাড়াবে। এ জন্য রাজউক, না হয় সিটি করপোরেশন যেকোনো একটি সংস্থা এই কাজ করুক।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজউক ৫০ বছরের বেশি সময় থেকে ঢাকায় ছোট-বড় সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন দিচ্ছে। তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সিটি করপোরেশনের তো এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জনবল নেই, কোনো কাঠামো নেই। ফলে ভোগান্তি বেড়ে যাবে আরও কয়েক গুণ।’

সিটি করপোরেশনে এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও কাঠামো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দায়িত্ব তাদের দিলে সেখানেও হয়রানির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।’

রিহ্যাবের শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণে অনুমোদনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন পেলে তখন দুই প্রশাসন কাজ করবে। এই সিদ্ধান্ত আসলেই সাংঘর্ষিক। ভোগান্তি কমাতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সেখানে আরও নতুন তদারকি সংস্থা যুক্ত করা হচ্ছে।’

আলমগীর শামসুল আলামিন আরও বলেন, ‘আগে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ১১টি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হতো। এই কাজ সহজ করতে ২০১৯ সাল থেকে রাজউক, ফায়ার সার্ভিস ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদনের নিয়ম করা হয়। এর সঙ্গে এখন নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত করায় জটিলতা বাড়বে।’

সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি রাজউকের কাছেই তদারকির দায়িত্ব রাখার পরামর্শ দেন।

রিহ্যাব সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ বলেন, ‘দুটি প্রশাসনকে একটি কাজের দায়িত্ব দিলে জনগণের ভোগান্তি ও ব্যয় সবই বাড়বে। এমনিতেই অস্বাভাবিকভাবে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ছে। ব্যয় বৃদ্ধির নতুন নতুন খাত নাগরিকদের আবাসনের স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

রিহ্যাব সহ-সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তে ভালো কাজ কিছুই হবে না বরং যারা প্ল্যান জমা দেবেন তাদের হয়রানি বাড়বে। নতুন করে অনুমোদনের দায়িত্ব পেলে অবকাঠামো যারা বানাবেন তাদের অসন্তুষ্টির কারণ হবে সিটি করপোরেশনগুলো।’

এ বিভাগের আরো খবর