বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে এক হাজার স্থানে বোমা ফাটবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার পাবনা শহরের পুলিশ লাইনস মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কার কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ছয় হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক বিএনপি দখল করে নিয়েছিল। আবার তারেক জিয়া আসবে, হাওয়া ভবন খুলবে, খোয়াব ভবন খুলবে, আনন্দ-ফুর্তি করবে, সব ব্যবসায় চাঁদা তুলবে। আবার শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলাভাইয়ের সৃষ্টি হবে। আবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে পাঁচ শ জায়গায় নয়, এবার এক হাজার জায়গায় বোমা ফাটবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যদি আবার নৌকার বিজয় না হয়, তাহলে গ্রামে গ্রামে ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে, ওএমএসের চাল বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রামে যারা ঘর পাচ্ছে সেই ঘর বিএনপির গুন্ডাপান্ডারা দখল করে নেবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ’শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। মানুষ শতভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম হারিকেন-চেরাগ চেনে না। উপজেলায় বিউটি পার্লারের বিউটিশিয়ান ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে সরকারি সহযোগিতায়। ষাটোর্ধ্ব সবাইকে পেনশন দেয়ার ঘোষণ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সর্বজনীন পেনশন দেয়া হবে। এই ঘোষণা কেউ আশা করেনি, দাবিও করেনি। আইন হচ্ছে, যারা বিদেশে থাকবেন তারাও পেনশন পাবেন।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে রেজাউল রহিম লালকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গোলাম ফারুক প্রিন্সকে আবারও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।