বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়: মোড়ক উন্মোচন করলেন জাফর ইকবাল

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:১২

নতুন প্রজন্মের যারা সায়েন্স ফিকশন নিয়ে লিখছেন তাদের উদ্দেশে ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘লিখতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে, প্রচুর পরিশ্রম করতে, সময় দিতে হবে।’ সাংবাদিক মুস্তফা মনওয়ার সুজনের লেখা ‘অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়’ সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক উপন্যাস। এটি জীবনের নিগূঢ় মনোজাগতিক দ্বন্দ্ব-বিরোধ-সংঘাত নিয়ে দাঁড়িয়েছে।

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সাংবাদিক মুস্তফা মনওয়ার সুজনের লেখা প্রথম উপন্যাস ‘অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়’র মোড়ক উন্মোচন করেছেন।

বাংলা একাডেমির তেঁতুলতলায় সাস্ট ক্লাবের (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান) ৬৫০ নম্বর স্টলে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজ্ঞানভিত্তিক উপন্যাসটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

একই সময় তিনি মেলায় সাস্টিয়ানদের লেখা বইয়ের প্রাপ্তিস্থান সাস্ট ক্লাবের স্টল উদ্বোধন করেন।

তিনি সাস্ট ক্লাবের সঙ্গে সারা জীবন থাকার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গল্প করে বেশ কিছু সময় কাটান।

নতুন প্রজন্মের যারা সায়েন্স ফেকশন নিয়ে লিখছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লিখতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে, প্রচুর পরিশ্রম করতে, সময় দিতে হবে। পৃথিবীর সব জায়গায় সবকিছু সমানভাবে হয় না। আগে বাংলাদেশে সায়েন্স ফিকশন বলে কোনো জিনিস ছিল না, বাংলাদেশে প্রথম সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এখন কত সায়েন্স ফিকশন লেখা হয়। এমনকি এখন বাংলা একাডেমিতে সায়েন্স ফিকশনে পুরস্কার দেয়ার জন্য আলাদা ক্যাটাগরি পর্যন্ত খোলা হয়েছে।’

এ সময় সম্প্রতি সাস্টের আন্দোলনের সমাধান কোন পথে; সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অনেক ডিটেইল জানি; কিন্তু আমি পাবলিকলি বলতে পারব না। এটা বলা যাবে না কারণ আমি তাদের কথা দিয়েছি আমি বলব না।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির প্রাক্তন ছাত্র মুস্তফা মনওয়ার সুজনের লেখা ‘অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়’ সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক উপন্যাস। এটি জীবনের নিগূঢ় মনোজাগতিক দ্বন্দ্ব-বিরোধ-সংঘাত নিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র রঞ্জুকে ঘিরে ঘটনার ঘনঘটা জন্ম দিয়েছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। পদার্থবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান ও প্রাণবিদ্যার বহুমুখী জিজ্ঞাসা উঠে এসেছে তার রহস্যঘেরা জীবনের ঘটনা পরম্পরায়।

উপন্যাসে লক্ষণীয়, রঞ্জুর বিরক্তির ভয়ঙ্কর পরিণতি। অনেকের অনিবার্য মৃত্যু। যদিও সেসবে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে না। এমন রঞ্জু হয়ে ওঠার নেপথ্যে কার্যকারণ বিস্তর। মানুষটি হতে পারে প্রকৃতির নিষ্ঠুর সৃষ্টি।

বিজ্ঞানের অসহায়ত্বে নিয়তি বা ধর্মের ধারণা এই উপন্যাসে ভেঙেচুরে মিলিয়ে গেছে। পাশাপাশি অশরীরীর উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড জুগিয়েছে গভীর ভাবনার খোরাক।

এতে জটিল বিজ্ঞানের সমান্তরালে হেঁটেছেন ভারতের লখনৌ থেকে আসা এক বাইজি। সাধারণ গণিকার রাজবেশ্যা হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত। এক দিকে রহস্যময় ঈশ্বর কণা, দুর্বোধ্য কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নিরীক্ষা অন্যদিকে বিশাল নিউরন জগতের হাইপোথিসিস, পাশাপাশি উপন্যাসজুড়ে রয়েছে নিষ্ফল প্রেম, নির্মোহতা, মনোজাগতিক প্যারাডক্স, দুরন্ত যৌনতা, নগ্নতার অপার সৌন্দর্য, মুগ্ধতার নিষ্ঠুর সমাপনী এবং ঐতিহাসিকতা।

রয়েছে রাজনৈতিক নির্মম বাস্তবতার পাশাপাশি তারুণ্যের রুখে দাঁড়ানোর অদম্য সাহস। এতসবের পরও একই বৃত্তে জীবনের ঘুরপাক।

বিজ্ঞানের ওপর আদ্যোপান্ত ভর করে সরল ভাষায় গল্প কথনে চমকের পর চমক উপন্যাসটিকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী মাত্রা।

‘অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়’ প্রকাশ করেছে বিশ্ব সাহিত্য ভবন। বইটি এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৪ নম্বর প্যাভেলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। দাম ৩০০ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর