দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী বছর থেকে দুই দিন সপ্তাহিক ছুটি থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মতিঝিলের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন কারিকুলামের পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনই সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কোথাও কোথাও দুই দিন আছে। আমরা যখন কারিকুলামের রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম, তখনই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষায় দুই দিন ছুটি করতে চেয়েছিলাম।
‘প্রাথমিকের জন্য এক দিন ছুটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তখন প্রাথমিকের পক্ষ নিয়ে বলেন, সেখানেও দুই দিন ছুটি লাগবে। আমরা ঠিক করেছি, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। এখন যারা পাইলটিংয়ে যাবে তাদেরও দুই দিন ছুটি থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু জ্ঞান নয়, এর সঙ্গে দক্ষতা অর্জনই মূলত নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য। সেটি বাস্তবায়নেই আমাদের আগামী দিনের পথচলা।’
শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে নতুন কারিকুলাম করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এখন নতুন কারিকুলামের পাইলটিং চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন এটি বাস্তবায়িত হবে। এটি সফল হলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি থেকে বাস্তবায়ন করব। ২০২৪ সালে এসে অষ্টম-নবম শ্রেণিতে এটি বাস্তবায়িত হবে। সে হিসাবে ২০২৪ সাল থেকে আর আর্টস, কমার্স ও সায়েন্স বিভাগ থাকছে না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখব নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দক্ষতাসম্পন্ন হচ্ছেন কি না। আমরা যখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের থেকে ফিডব্যাক পাব, তখন নিজেদের সার্থক মনে করব।’
নতুন পাঠক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের পাঠক্রমে সঠিক গন্তব্যের দিকনির্দেশনা ছিল না। সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতেই নতুন পাঠক্রম করা হয়েছে।
‘আমরা দীর্ঘদিন পর নতুন একটি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, ল্যাবরেটরি প্রয়োজন হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেরা সেটি ম্যানেজ করতে পারে ভালো। না হলে আমরা করে যাব।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।