ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় কনটেন্টের প্রচুর ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সংকট নিরসনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের গুণগত ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরির তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আয়োজনে ‘প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান রবির প্রধান কার্যালয়ে মোস্তাফা জব্বার এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটে বাংলা ভাষায় কনটেন্টের প্রচুর ঘাটতি আছে। মেধাসম্পদকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে না পারলে এই সংকটের সমাধান হবে না। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও গুণগত কনটেন্ট তৈরিতে কাজ করতে হবে।
‘বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকে বর্তমানে বাংলা ভাষা সপ্তম স্থানে রয়েছে, এটিকে আরও এগিয়ে নিতে বিদেশি ভাষায় বিকৃত বাংলা লেখার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুদ্ধ বাংলা ব্যবহারের আহ্বান জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলা ভাষাকে নয়, বাংলা বর্ণমালাকেও বিশ্বের কাছে পরিচিত করা জরুরি। এ জন্য বাংলা ভাষার মতো বাংলা বর্ণকেও ভালোবাসতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বিশ্বের তিনটি প্রধান ভাষার একটি হবে বাংলা। শুধু জনসংখ্যার দিক থেকে এমন না। প্রযুক্তিগত দিক থেকেও এই স্থান দখল করতে চায়।
‘এই প্রযুক্তিগত সক্ষমতাটি আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের দ্বারা সম্ভব হবে। এখন থেকে যদি সম্মলিতভাবে কাজে লাগতে পারি তাহলে এটি সম্ভব হবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলা ভাষায় এসএমএসের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আমরা বাংলায় এমএমএস ব্যবহারের মূল্য অর্ধেক করে দিয়েছি। কারণ বাংলা ভাষায় এসএমএস লিখতে দ্বিগুণ অক্ষরের প্রয়োজন হয়।
‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের মোবাইল অপারেটরা এ বিষয়ে রাজিও হয়েছে। এ কাজটির ফলে বাংলা ব্যবহারের জায়গাটি আমরা উন্মুক্ত করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ১৮ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তবে সবাই ইংরেজিতে পাঠানো এসএমএস পড়তে পারে না। সুযোগ থাকলে মোবাইল অপারেটররা আঞ্চলিক ভাষায় গ্রাহকদের কাছে এসএমএস পাঠান।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। বক্তব্য দেন রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম রিয়াজ রশীদ, বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন জুঁই।