বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘন কুয়াশার প্রভাব মাদারীপুর সবজির বাজারে

  •    
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০১:১৩

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘যদি কোনো পাইকারী বা খুচরা বাজারে কেউ ইচ্ছেকৃত বা সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়ায় তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অবস্থায়ই কৃত্রিম সংকট মেনে নেয়া যাবে না।’

শীতের তীব্রতা কমতে না কমতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদারীপুরের সবজি বাজার। পুরো শীতজুড়ে দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকালেও গত সপ্তাহ থেকেই এখানে সবজির দাম বাড়ছে লাফিয়ে।

এর জন্য ঘন কুয়াশায় সবজি নষ্ট ও পরিবহন সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

অস্থিরতা চালের দামেও। মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে কিছুটা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পিয়াজ-রসুনের দাম। ডিম-ডালের দামও আগের মতোই।

শুক্রবার মাদারীপুরের শহরের পুরানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের।

মাদারীপুর জেলা শহরের সবচে বড় ইটেরপুল বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি বেগুন ১০ টাকা বেড়ে ৬০, শিম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০, পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ৩০, আলু ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫, ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে ৫০, বাঁধাকপি ১০ টাকা বেড়ে ৪০, মুলা ৫ টাকা বেড়ে ২০, কাঁচামরিচ ২০ টাকা বেড়ে ১০০, দেশি টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৫০ ও ঢেঁড়শ ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া আগের দামে গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পিঁয়াজ এখনও একই দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও প্রায় একই রকম আছে।

কুলপদ্ধি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চালের বাজারের অস্থিরতা এখনো বিরাজমান। মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।

চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আর আমদানি করা মসুর ডাল ৭০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে অনেকটাই। প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত মাসের চেয়ে প্রায় কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। এ ছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৫০-৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৮০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ইটেরপুর বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা শাহ্ আলম বলেন, ‘মাঘ মাসে ঘন কুয়াশায় প্রচুর পরিমাণে সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ফাল্গুণ মাস আসলেও সেই ক্ষতির প্রভাব এখন পড়ছে। খুচরা বাজারে আগের মতো সবজি আসে না। তাই দামও কিছুটা বেড়েছে। কিছুটা পরিবহন সংকটও রয়েছে। আমাদের দাম বাড়লেও লাভ নেই, কমলেও লাভ নেই। যে দমে কিনি, সেই দরে বেচি।’

একই বাজারে ক্রেতা সুমন বেপারী বলেন, ‘সবজির দাম আগের মতো নাই। গত মাসেও যে দামে সবজি কিনেছি, তা এখন ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজিপ্রতি বেড়েছে। বাজার দর ধীরে ধীরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রশাসনের লোকজনও বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে না। তাই খামখেয়ালিভাবে দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘যদি কোনো পাইকারী বা খুচরা বাজারে কেউ ইচ্ছেকৃত বা সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়ায় তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অবস্থায়ই কৃত্রিম সংকট মেনে নেয়া যাবে না। অভিযোগ পেলে ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালানো হয়। প্রয়োজনে আরও বেশি অভিযান চালানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর