বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আমার জীবনটা স্ট্রাগল করা। ১০ বছরের পরিশ্রম আমাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমেরিকায় কাটানো ১০ বছর আমাকে গরীব দুখী মানুষের কষ্ট হাতে কলমে বুঝিয়েছে।’
সেই অভিজ্ঞতা দিয়েই বরিশালে সাধারণ মানুষের সেবা করার পাশাপাশি এই নগরীকে ক্লিন নগরী করেছেন বলে জানান সাদিক।
শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই দশক পূর্তির বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী পর্ব, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন মেয়র।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নিচু ভাবে দেখানো ঠিক না। সবার মধ্যেই ভুল থাকে। সেটা আমাকে বললে শুধরে নেব। আমার অনেক ভুল আছে মানি। কিন্তু তা অজান্তেই করি। ইচ্ছাকৃত ভুল করি না।’
মেয়র সাদিক বলেন, ‘সব বিষয়ে আমার নলেজ রয়েছে, কিন্তু এক্সপার্ট না। উন্নত রাষ্ট্রের মত উন্নত প্রযুক্তির নগরী গড়তে চাচ্ছি বরিশালকে। অফিসে আপনারা রেগুলার আমাকে পান না, আমার তো ৯টা থেকে ৫টা চাকরি না। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি, রাস্তায় আমাকে পাবেন। আমি নগরীতে ঘুরে সমস্যা দেখে সমাধান করছি, যেটা নগরবাসী দেখছে।’
নিজের প্রতি বরিশালবাসীর ভুল ধারণা ভাঙছে দাবি করে মেয়র বলেন, ‘সত্যকে তো দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমাকে সর্বোচ্চ বাধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। আমি উন্নয়নকাজ করে যাবোই। আমার প্রতি প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হয়। আমার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলি।’
এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাসা থেকে খালি পায়ে গিয়ে সবাইকে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ ঘোষ পুতুল, সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুর রহমান খান স্বপন, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, অতিথি অধ্যাপিকা টুনু রানী কর্মকার প্রমূখ।
এ সময় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক ১৫ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠান সমাপন করা হয়।