গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সরকারি শ্রীকৃষ্ণ (এস.কে) কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিম হোসেন মোল্যার স্মরণে সভা ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।
কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতিতে অনেক ভূমিকা রেখেছেন আজিম হোসেন মোল্যা। তার মৃত্যুর পরে যেন আমরা তাকে ভুলে না যাই। তার একটি সন্তান রয়েছে। সে আমাদেরও সন্তান। তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে।’
এস.কে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি শেখ কাবুল হোসেন বলেন, ‘এক কথায় আজিম ভালো মানুষ ছিল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করে।’
আজিমের স্মৃতিচারণ করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শামীম আল রাসেল বলেন, ‘আজিম আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ঢাকায় গেলেই আমার বাসায় থাকত। সবার সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখে চলাফেরা করত। আজিমের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় আজিমের। তার বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্রামে। তার অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বন্ধু, স্বজন ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমি যখন ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলাম ঠিক তার তিন মাস পর এস.কে কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। তখন আজিম ভাই কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। তার বিচক্ষণতায় ছাত্রলীগের প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। দলের দুঃসময়ে সবসময় মাঠে ছিলেন আজিম ভাই।’
এই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বদরুল আলম বদর, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, কাশিয়ানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুম, সাবেক সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান, আজিমের ভাই নাদিম মাহমুদসহ আরও অনেকে।
কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরাফত হোসেন লাবলু বলেন, ‘আজিমের অকাল মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তার পরিবারের সদস্যরা যেন এই শোক সইতে পারে তার জন্য আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করবেন।’
‘আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি হিসেবে রাজপথে ছিল আজিম। কখনোই ভাবিনি আজিমের শোক সভায় এসে বক্তব্য দিতে হবে। আমরা সবাই আজিমের ছেলের পাশে থাকব’, বলেন জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বি।
এমন অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না জানিয়ে কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর বলেন, ‘একসময় সবার মৃত্যু হবে। তবে আজিমের অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা আজিমের পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকব।’
আজিমের ছেলের দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বদরুল আলম বদর।
কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আজিমের অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আজিমের মেধা ছিল, কর্মদক্ষতা ছিল। তা দিয়েই আজিম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিল।’
স্মরণ সভা শেষে আজিমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল হয়।