বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবিতে বুথ না থাকায় শিক্ষার্থীদের করোনা পরীক্ষায় অনীহা

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৪১

ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলেই জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপসর্গ মৃদু হওয়ায় ও করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া জটিলতার কথা চিন্তা করে বেশির ভাগই করোনা পরীক্ষা থেকে বিরত থাকছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোয় জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বড়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী এরই মধ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে। আক্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষকরাও।

এমন পরিস্থিতিতে উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষা করাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতের নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলেই জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপসর্গ মৃদু হওয়ায় ও করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া জটিলতার কথা চিন্তা করে বেশির ভাগই করোনা পরীক্ষা থেকে বিরত থাকছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যাম্পাসে যদি করোনা পরীক্ষার বুথ স্থাপন করা যায় তাহলে সহজেই তারা পরীক্ষা করাতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ জন করে রোগী এখানে আসছেন চিকিৎসা নিতে।

‘তবে বৃহস্পতিবার এ সংখ্যাটা কমেছে। এর আগের দিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। গত কিছুদিনে ২০০-৩০০ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে।’

তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগেরই মৃদু লক্ষণ। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি এবং আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত করছি। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া করোনা পরীক্ষাও করতে বলি আমরা।’

একাধিক হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা কেউ মেডিক্যাল সেন্টার ও কেউ আবার ঘরে বসেই নিজের চিকিৎসা নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোহরাওয়ার্দী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে সবাই এখন কমবেশি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। এটাকে সিজনাল ফ্লু বলে মনে হচ্ছে তাই আর দূরে কোথাও গিয়ে পরীক্ষা করানোর দরকার মনে করিনি। ক্যাম্পাসে সুযোগ থাকলে পরীক্ষা করিয়ে দেখতাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ক্যাম্পাসে মাইকিং করা হয়েছে। বহিরাগত প্রবেশে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কেউ যদি পরীক্ষা করাতে চায় হাটহাজারীতে গিয়ে নমুনা দিতে পারবে।

ক্যাম্পাসে বুথ স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমন কোনো দাবি পাইনি। পেলে আমরা স্থাপন করব।’

এ বিভাগের আরো খবর