ভারতের সিমলায় দুই দিনের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ শুরু হয়েছে।
দশম দফা এই সংলাপের উদ্বোধন করা হয় শুক্রবার সকালে। সংলাপটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য উভয় দেশের থিংক ট্যাংক, সুশীল সমাজসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করার ফোরাম এটি। ২০১৯ সালে নবম দফা সংলাপ হয় কক্সবাজারে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য রাম মাধব প্রমুখ।
সংলাপে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নেতারাও এবার যোগ দিয়েছেন। সংগঠনটি ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক অভিভাবক হিসেবে পরিচিত।
উদ্বোধনী অধিবেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।’
শাহরিয়ার আলম এ অঞ্চলে এবং এর বাইরেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
মানুষে-মানুষে যোগাযোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ইতিবাচক ভূমিকা তৈরিতে নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মির্জা আজম এমপি, অসীম কুমার উকিল এমপি, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানসহ অন্যরা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।