কোনো দিনই বিএনপির সদস্য বা উপদেষ্টা ছিলেন না বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
আলোচনা সভার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
নির্বাচন কমিশনার গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে তার তিন দিন আগে জনসম্মুখে তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির কাছে আমি আটজনের নাম বলেছিলাম। আমি কাউকে জিজ্ঞেস করে নাম দিইনি। হঠাৎ হানিফ আবিষ্কার করলেন এটা বিএনপির দেয়া নাম। এই মিথ্যাচার কেন করলেন? এই ভুল তথ্য কেন দিলেন? এটা আমি জানি না।’
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিদায় নিয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপি এ সার্চ কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাম সুপারিশ করবে না বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারের জন্য সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেন তা বিএনপির পক্ষেই প্রস্তাব করা হয়। যে কারণে বলা যায়, বিএনপি সরাসরি নাম প্রস্তাব না করলেও আর একজনের মাধ্যমে প্রস্তাব করেছে।’
হানিফের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারও সঙ্গে গত তিন মাসে কথা হয়নি, আলাপও হয়নি। হানিফ আরেকটা ভুল কথা বলেছেন। বলেছেন, আমি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। আমি কোনো দিনই বিএনপি সদস্য ছিলাম না, উপদেষ্টাও ছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘আমিও সার্চ কমিটির মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। যে ১০ জনের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন তা আগেই জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। জনগণকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে।
‘সার্চ কমিটি যতই সার্চ করুক জনগণের চেয়ে বেশি সার্চ তারা করতে পারবে না। জনগণ হলো আসল সার্চের মালিক। তিন দিন আগে এই ১০ জনের নাম প্রকাশ করা হলে তাদের সম্পর্কে আমরা সব তথ্য দিতে পারব। গোয়েন্দা বাহিনী যে তথ্য দিতে পারে না জনগণ সে তথ্য দিতে পারবে।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ধ্বংস করতে হবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে চান তাহলে সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে। পরিষ্কারভাবে বলতে হবে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কবরে পাঠানো হবে৷ পরিষ্কারভাবে বলতে হবে র্যাবকে বিলোপ করা হবে৷’
খালেদা জিয়ার দুই ভুলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ক্লিন হার্ট অপারেশন করে তিনি ভুল করেছিলেন। আরেকটা ভুল করেছিলেন, সালমানে কথা শুনে ওষুধের দাম উঠিয়ে৷’
সংগঠনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, ব্যারিস্টার মেজর (অব.) সরোয়ার, ভাসানী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।