দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন হোসেন শাহের বিরুদ্ধে নির্বাচনে তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে।
ওই ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জা লিয়াকত আলী বেগ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার আবেদন করেন। তাতে অভিযোগ করেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রে দুই রকম তথ্য আছে। দুটি আইডি ব্যবহার করে তিনি একই ওয়ার্ডে দুই গ্রাম থেকে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
বিচারক সুরাইয়া বেগম আবেদন আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মালিককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী রফিকুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাজ উদ্দিন হোসেন শাহ গত ৫ জানুয়ারি আলোকডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা লিয়াকতও ছিলেন স্বতন্ত্র।
এজাহারে বলা হয়েছে, তাজ উদ্দিন আলোকডিহি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দাঁড়াতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। জন্মতারিখ ১৯৭৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর, মহল্লা দেয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলোকডিহি গ্রাম। সেখানে ভোটার নম্বর লেখা ২৭১৩৯৯০০০০৩৫। এটিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেয়া উচ্চ মাধ্যমিক।
আরেকটি পরিচয়পত্রে তাজের জন্মতারিখ লেখা ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি, মহল্লা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রাম। এটিতে ভোটার নম্বর ২৭১৩৯৯২৮৩৪০১ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা কারিগরি শিক্ষা।
আলোকডিহি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ভোটার তালিকায় ৩৫৫ নম্বর ও ৩৭৭ নম্বর ক্রমিকে তার নাম আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মালেককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। কয়েকবার ফোন কেটে দিয়েছেন। এসএমএস পাঠানো হলেও জবাব দেননি।