গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘সরকারি অ্যাপে মন্ত্রীর আত্মীয়ের ব্যবসা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে থেইন সিস্টেমস। প্রতিবাদপত্রে প্রতিবেদনটিকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মালিকানা থেইন সিস্টেমস ও বাংলা ট্রাক গ্রুপের হাতে সংরক্ষিত। কোনোভাবেই এটি সরকারি অ্যাপ নয়। এ ছাড়া বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনে ‘আমি প্রবাসী’ একটি বিকল্প পথ। এর মাধ্যমে উপার্জিত আয় সম্পূর্ণ বৈধ।
প্রতিবাদপত্রে আরও দাবি করা হয়, আমি প্রবাসী লিমিটেড একটি স্বতন্ত্র কোম্পানি। অ্যাপে নিবন্ধিত আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা হয়। এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ সংখ্যা দেশের সব জেলা জনশক্তি অফিসের সম্মিলিত বিএমইটি নিবন্ধন সংখ্যার থেকেও বেশি। অ্যাপ না থাকলে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী কর্মীকে বরং লাইনে দাঁড়াতে হতো। তাই নিবন্ধন ভোগান্তির অভিযোগ সঠিক নয়। এ ছাড়া অ্যাপে টিকা নিবন্ধনের ফলে বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকর্মী করোনা সংক্রমণ এড়াতে সক্ষম হন।
প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, আইনত সব চুক্তি এবং কার্যধারা অনুযায়ী আমি প্রবাসী অ্যাপটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নয় বরং বাংলা ট্রাক গ্রুপ আইনতগতভাবে আমি প্রবাসী লিমিটেড এবং থেইন সিস্টেমের অধিকর্তা এবং নামির আহমাদ থেইন সিস্টেমস বা আমি প্রবাসী লিমিটেডের অধিকর্তা নন। তিনি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলা ট্রাক গ্রুপের একজন প্রতিনিধি।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। মন্ত্রণালয়ের নথি অনুযায়ী ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মালিক সন্দেহাতীতভাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তথা সরকার।
২০২০ সালের ১ জুন সহকারী সচিব কাঞ্চন বিকাশ দত্ত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়, ‘আমি প্রবাসী অ্যাপ্লিকেশনটি বিধি মোতাবেক প্রকিউর করার জন্য অনুমোদিত নোটশিট এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।’ ১৪ জুন এক ভাউচারে অ্যাপ কেনার বিল পরিশোধ করা হয়, যার একটি কপি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
অন্যদিকে সরকারি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (জয়েন্ট স্টক কোম্পানি) তথ্য বলছে, ১৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ‘আমি প্রবাসী লিমিটেড’ কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এতেই প্রমাণ হয়, সরকার আমি প্রবাসী অ্যাপটি কেনার পরের বছর লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর হয়। এ ছাড়া গত বছরের ৮ মে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুজিববর্ষের একটি উদ্যোগ হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই অ্যাপটি উদ্বোধন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সে খবর তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রচার হয়।
এ ছাড়া আমরা আমাদের প্রতিবেদনে কখনোই দাবি করিনি নামির আহমাদ ‘আমি প্রবাসী লিমিটেডের’ অধিকর্তা। আমরা নামির আহমাদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিবেদনে বলেছি, নামির আহমাদ বাংলা ট্রাকের কমিউনিকেশনের একজন নোমিনি পরিচালক। আর বাংলা ট্রাকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেইন সিস্টেম ও ‘আমিই প্রবাসী লিমিটেড’।