ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামি আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুবাই যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে বৃহস্পতিবার রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আমজাদ হোসেন চট্টগ্রাম বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ভাই। তার নামে ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
গ্রেপ্তারের পর আমজাদকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে দুবাই যাওয়ার পথে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের হাতে তাকে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে আমাদের থানায় ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলা।’
কোন পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলা যেহেতু অনেকগুলো, আমরা সবগুলোর বিষয়ে আদালতকে অবহিত করব। বাকিটা দেখা যাক কী হয়।’
সুমন জানান, শুক্রবার সকালে আমজাদকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের নামে ১৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ৩০টি মামলা করে।
এসব মামলায় প্রতিষ্ঠনটির পরিচালক আমজাদ চৌধুরী, তার ভাই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, আরেক ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলা, আমজাদ চৌধুরীর স্ত্রী ইসমত জাহান ও শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে৷
এর মধ্যে ১৫টি মামলায় আমজাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এই তিন ভাই ও আসলামের স্ত্রী জামিলার নামে ব্যাংক ঋণের ৩২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা দুদকের মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে গত ৬ জানুয়ারি।
আসলাম চৌধুরীকে সে সময় আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছয় বছর ধরে কারাবন্দি আছেন তিনি।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হন আসলাম চৌধুরী। রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতাসহ তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা আছে।