বরিশালের উজিরপুরে হৃদয় মোল্লা নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মায়ের দাবি, তার ছেলেকে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বানারীপাড়া থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নেয়া হয়েছে।
১৪ বছর বয়সী হৃদয় মোল্লা উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে। সে ওই ইউনিয়নের ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
হৃদয়ের স্বজনরা জানান, বুধবার বিকেলে কারসা ফাউন্ডেশন নামের একটি সমিতির মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য শহীদ মোল্লার ঘরে যান। ওই সময় ঘরে টাকা না থাকায় হৃদয়ের মা ঝুমুর বেগম পাশের বাড়িতে যান টাকা সংগ্রহ করতে।
ঝুমুর বেগম বলেন, ‘কারসা ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী জাহিদকে ঘরে রেখে কিস্তির টাকা জোগাড়ে পাশের বাড়িতে যাই। কিছু সময় পরে এসে শুনি, আমার ছেলে হৃদয় ঘরের দরজার চৌকাঠের সঙ্গে মাফলার পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। তার বাবা ছেলেকে উদ্ধার করে পাশের বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
ঝুমুর বেগমের দাবি, ‘আমার ছেলেকে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।’
সমিতির মাঠকর্মী জাহিদ ওই ঘরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঝুমুর বেগম টাকা খুঁজতে যাওয়ায় তিনি অন্য সদস্যদের ঘরে কিস্তির টাকা আদায়ে যান। পরে ছেলেটির বাবার চিৎকারে ওই বাড়িতে গিয়ে হৃদয়বিদারক দৃশ্যটি দেখতে পাই।’
বানারীপাড়া থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে রহস্যজনক মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হৃদয় মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে নিয়েছে।