মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫০ সালে। প্রতিষ্ঠার ৭১ বছরের মধ্যে এই প্রথম নিজস্ব ক্রেনবিহীন (গিয়ারলেস) জাহাজ বন্দর জেটিতে নোঙর করে পণ্য বোঝাই ও খালাসে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
৪৮৬ টিউজ কনটেইনার নিয়ে ১৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৬ দশমিক ৯ মিটার গভীরতার ওশান ট্রেড লিমিটেডের পানামা পতাকাবাহী গিয়ারলেস এমভি ফিলোটিমো জাহাজটি বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
মাত্র ৩৯ ঘণ্টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব দুটি মাল্টিপারপাস ক্রেন ও একটি মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে ২৬৩টি পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজ থেকে খালাস ও ৩৪৪টি কনটেইনার জাহাজে বোঝাই করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বিদেশি এ জাহাজ পণ্য বোঝাই করে বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দর ত্যাগ করে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্দরের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি দুটি মাল্টিপারপাস ক্রেন ও চারটি মোবাইল হারবার ক্রেন বন্দরে সংযোজন করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এসব ক্রেনের মাধ্যমেই গিয়ারলেস জাহাজ থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য বোঝাই-খালাস সম্ভব হয়েছে।
‘এর আগে মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৭১ বছরের মধ্যে শুধু নিজস্ব ক্রেন যুক্ত কনটেইনার বহনকারী জাহাজ আসত এ বন্দরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে গিয়ারলেস জাহাজ এলেও যথাযথ সেবা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মাত্র ৩৯ ঘণ্টায় গিয়ারলেস জাহাজটি থেকে সব কনটেইনার ওঠানো ও নামানো হয়েছে।
‘প্রতি ঘণ্টায় ১৫টি কনটেইনার ওঠা-নামানোতেও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এমন জাহাজ থেকে আগে সমপরিমাণ পণ্য ওঠা-নামানোর জন্য সাধারণত তিন দিন সময় লাগত।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘নতুন ক্রেন বন্দরে যুক্ত হওয়ায় অন্য জাহাজের পণ্য ওঠা ও নামার সময় এক দিন কমেছে। এতে বন্দর জেটিতে নোঙর করে পণ্য বোঝাই এবং খালাসে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ রেকর্ড সৃষ্টি করছে।’