বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অরিত্রীর আত্মহত্যা: সাক্ষ্য দিলেন প্রতিবেশী

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৪৪

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার মামলায় আদালত ১৪ মার্চ পরের সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করেছে। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য দিলেন।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার মামলায় শ্রী অনিক নামে এক প্রতিবেশী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে বৃহস্পতিবার তিনি সাক্ষ্য দেন।

আদালত ১৪ মার্চ পরের সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করেছে।

এ নিয়ে মামলাটিতে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য দিলেন।

এদিন মামলার দুই আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজিরা দেন।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রী।

তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান। পরে ভিকারুননিসার ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।

এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর সামনে তার বাবাকে অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর