বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৭ মার্চ হলে উঠবেন জগন্নাথের ছাত্রীরা

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:১৩

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, ‘আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে হলে আমাদের ছাত্রীরা উঠবেন। এর মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করা হবে। আর রোববার আসন বরাদ্দের চূড়ান্ত তালিকা দেয়া হতে পারে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র আবাসিক হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল’-এ আগামী ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা উঠবেন।

বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম।

শামীমা বেগম বলেন, ‘আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে হলে আমাদের ছাত্রীরা উঠবেন। এর মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করা হবে। আর রোববার আসন বরাদ্দের চূড়ান্ত তালিকা দেয়া হতে পারে।’

২০২০ সালের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এ হলের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের প্রায় এক বছর পর আসনের জন্য ছাত্রীদের থেকে আবেদন নেয় হল কর্তৃপক্ষ। তবে আবেদনের পর এত সময় গড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আসন বরাদ্দ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রী হলে যে সুবিধা থাকছে

১৬ তলাবিশিষ্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীদের জন্য মোট ১৫৬টি কক্ষ, একটি পাঠাগার, একটি ক্যানটিন, একটি ডাইনিং, প্রতি তলায় সাতটি করে শৌচাগার, নয়টি গোসলখানা ও চারটি লিফট আছে।

হলের প্রতি কক্ষে চার ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা খাট, পড়ার টেবিল ও লকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

১৬ তলা হলটির ১৫৬টি কক্ষে চারজন করে ৬২৪ ছাত্রী থাকতে পারবেন।

হলের তৃতীয় থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আর নিচতলা ও দোতলায় রয়েছে লাইব্রেরি, ক্যানটিন ও ডাইনিং।

এ ছাড়া প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট ও আটটি গোসলখানা রয়েছে। ভবনটিতে চারটি লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে।

যেভাবে এলো হল

২০০৯ ও ২০১১ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ছাত্রী হল নির্মাণের ঘোষণা আসে। ২০১১ সালেই শুরু হয় হল প্রকল্পের কাজ। পরে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি লিয়াকত অ্যাভিনিউয়ের ২৩ কাঠা জায়গা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই সময় ছাত্রী হলের ব্যানার টানিয়ে জায়গাটির দখল নেন।

২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট জায়গাটিতে ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ ছাত্রী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই দিন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এক হাজার ছাত্রীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০ তলা ফাউন্ডেশনের দুটি টাওয়ার নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর এ হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর এক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হলটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়।

হল নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদ ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের জুন। তৃতীয় দফা ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

২০১৯ সালেও কাজ শেষ না হলে ২০২০ সালেও অতিরিক্ত সময়ে কাজ চলতে থাকে। শুরুতে এই হলের নির্মাণব্যয় ৩৩ কোটি টাকা ধরা হলেও কাজ শেষ করতে ৩৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান হলটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর