করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির মধ্যে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এবার ১০ শতাংশের ঘরে নেমেছে। গত ২৮ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ ৩৩ শতাংশের বেশি থেকে সেটি কমে এবার হয়েছে ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এর চেয়ে কম হারে শনাক্ত আর দেখা যায়নি।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৫৪৭টি। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৩৯ জন।
আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় রোগী ছিলেন ৩ হাজার ৯২৯ জন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত ১১ জানুয়ারির শনাক্তের হার পাওয়া গেছে সবচেয়ে কম। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনার রোগী তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর সর্বনিম্ন। সবশেষ এর চেয়ে কম রোগী পাওয়া গেছে গত ১২ জানুয়ারি। সেদিন এক দিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২ হাজার ৪৫৮ জন। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
আগের দিনের তুলনায় রোগী ও শনাক্তের হার কমলেও মৃত্যু কিছুটা বেড়েছে। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হলেও পরদিন তা বেড়ে হয়েছে ২০ জনে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২৮ হাজার ৯০৭ জন। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৭০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪, ষাটোর্ধ্ব ৪, সত্তরোর্ধ্ব ৫ ও অশীতিপর ২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে রাজশাহী বিভাগ পাঁচজন। এ ছাড়া খুলনায় চার, চট্টগ্রামে দুই, সিলেটে রংপুর একজন করে মৃত্যু হয়েছে।
করোনা দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণ সারা দেশ ছড়িয়ে পড়েছিল, তবে এবার ঢাকায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এক দিনে রোগী শনাক্তের ৬০ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৭২১ জনের রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৪২ জন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার আগামী মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
করোনার কারণে ১ ফেব্রুয়ারির বদলে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বইমেলা শুরুতে দুই সপ্তাহ চলার কথা থাকলেও সেটি আরও বাড়ানোর আলোচনাও আছে। তবে করোনা কমে আসলেও স্বাস্থ্যবিধি আরও গুরুত্ব সঙ্গে মানার আহ্বান জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।