অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করেছে আদালত।
তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি শেষে তা স্থগিত করা হয়। তবে তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এই আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে নেয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ। তবে হাইকোর্টে এ মামলার বিরুদ্ধে একটি আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। সেটি নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার জন্য আদালতে আবেদন জানান তারা। শুনানি শেষে আদালত তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। তবে স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বলে আদেশ দেন বিচারক।’
ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। এতে সাক্ষী করা হয় ২৯ জনকে।
পরে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। এই মামলায় প্রদীপের স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের হদিস পায় দুদক।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। সম্মিলিতভাবে এই দম্পতির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।