বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালের দামে লাগাম টানবে কে

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৬

ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী হলেও মনে করি চালের এত দাম অযৌক্তিক। মিল-মালিকদের বললে তারা বলেন, ধানের দাম বেশি তাই চালের দাম কমানো যাচ্ছে না। কিন্তু ক্রেতারা এসে মন খারাপ করেন। আক্ষেপ করেন। হিসাব কষে যা কিনতে চেয়েছিলেন তার চেয়ে কম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও কুষ্টিয়ার বড় রাইস মিলগুলোয় অভিযান শুরু করেনি প্রশাসন। তারা এখনও আছে খোঁজখবর নেয়ার পর্যায়ে। তবে এরই মধ্যে আরেক দফা বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের অভিযোগ, অতি মুনাফার জন্য চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন।

চলতি সপ্তাহেও কুষ্টিয়ার কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে চালের দাম। বেড়েছে মাঝারি ও মোটা চালের দামও। সরু চাল কুষ্টিয়া পৌর বাজারে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩-৬৪ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, এই চাল তারা পাইকারদের কাছ থেকে ৬১-৬২ টাকা দরে কিনছেন।

সরু চালের বৃহত্তম মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর থেকে এ মৌসুমে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে চালের দাম।

এই মোকামের ব্যবসায়ী মোমিনুর রহমান বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী অভিযান চালানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে মোতাবেক অভিযান হলে ভালো হবে। এতে চালের দাম কমে আসতে পারে।

‘মিল-মালিকরা ধান চাল মজুত করে রাখেন দাম বাড়ানোর জন্যই। তারা যতই না বলুক, তাদের কাছেই ধান-চাল আছে। এগুলো বাজারে ছেড়ে দিলে দাম কমে যাবে। আমরা যদি ১০ বস্তা চাল চাই তারা দেয় দুই বস্তা। এভাবে তারা বাজারে চাহিদা ধরে রাখে, ধরে রাখে দাম।’

তিনি বলেন, ‘দাম কমলে আমাদের লাভ। মানুষ বেশি কিনতে পারবে। ব্যবসা ভালো হবে।’

চাল ব্যবসায়ী আহমদ মনজুল হক বলেন, ‘সারা বছরই চালের দাম ওঠানামা করে। কিন্তু এবার শুধু বেড়েই চলেছে। ভারতীয় চাল আসা বন্ধ হয়েছে। তার পরও কিছু চাল বাজারে আছে। ধানের নতুন মৌসুম গেল তার পরও চালের দাম কমছে না।’

ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী হলেও মনে করি চালের এত দাম অযৌক্তিক। মিল-মালিকদের বললে তারা বলেন, ধানের দাম বেশি তাই চালের দাম কমানো যাচ্ছে না। কিন্তু ক্রেতারা এসে মন খারাপ করেন। আক্ষেপ করেন। হিসাব কষে যা কিনতে চেয়েছিলেন তার চেয়ে কম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

ক্রেতা সজল হোসেন বলেন, ‘মজুতদারদের সিন্ডিকেট যদি সরকার ভেঙে দিতে পারে, তাহলে একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। না হলে আমাদের চাল কিনে খাওয়ার উপায় নেই।’

তবে সিন্ডিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন মিল-মালিকরা। বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সিন্ডিকেট নেই। মিলারদের মজুত করার সক্ষমতা নেই। অনেকেই দেউলিয়া হয়ে গেছেন।’

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের এই সংগঠন চালের দাম বা মজুত নিয়ে কাজ করে না। এ নিয়ে কোনো মিটিং হয় না। সিন্ডিকেটও নেই। চালকল মালিকদের লাইসেন্স বা কাগজপত্র, ব্যাংক লোনসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করে অ্যাসোসিয়েশন।’

তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট কিছু না, ধানের দাম বাড়লে চালের দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’

কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম তাহসিনুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কিছু মিলে মজুত পর্যবেক্ষণ করেছি। সেখানে নিয়মের বাইরে কিছু পাইনি। তবে অন্য কোথাও মজুত আছে কি না তা খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

‘ক্রয়-বিক্রয় রসিদ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দরকার পড়লে যেকোনো সময় অভিযান চালানো হবে।’

চলতি সপ্তাহে চালের দাম আবারও বাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারা দাম বাড়াল সে বিষয়টিও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর