যশোর শহরের বেজপাড়ায় ক্লাবে ঢুকে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার মো. রানা ও তার ভাই মো. রুবেল।
যশোর পুলিশের এএসপি রূপণ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি বলে এখনও মামলা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার রাতেই ওই দুজনকে আটক করা হয়েছে।
যশোর ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বেলাল হোসেন স্থানীয়দের বরাতে বলেন, ‘বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর বুধবার রাতে ক্যারাম বোর্ড খেলছিলেন ইয়াসিন হোসেন। এ সময় ১০-১২ জন এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’নিহতের স্ত্রী শাহান আক্তার নিশা অভিযোগ করে বলেন, ‘মাঠপাড়ার সুমন, স্বর্ণকার রানাসহ কয়েকজন সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়। মাদক কেনাবেচার বিরোধিতা করায় এরা হত্যা করল।’
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রাত ৮টার সময় হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় ইয়াসিনকে। মৃতের শরীরে ৭ থেকে ৮টি গভীর ক্ষত রয়েছে।’
নিহত ইয়াসিন আবার হত্যা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের কয়েক মামলার আসামি বলে জানান কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসকিন আলম।