বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে বাবাকে দাফনে সন্তানদের বাধা

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৩৫

দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দাফনে বাধা দেয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করি। পরবর্তী সময়ে সবাইকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সম্পত্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে।’

বাবার মরদেহ আটকে রেখে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারায় বসেন সন্তানরা। মৃত বাবার সামনেই ভাই-বোনদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় ১৬ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করা হয়।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা শহরে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামে বাধর্ক্যজনিত কারণে মারা যান ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিউিটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজি আবু আহমেদ।

৯০ বছরের সাবেক এ শিক্ষক দাগনভূঞা উপজেলা শহরে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজি বাড়ি।

ফেনীর দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মহিউদ্দিন আহমেদ জুয়েল জানান, হাজি আবু আহমেদ মৃত্যুর আগে উপজেলা শহরে ৩০ শতক ও বসুরহাটে ৬২ শতক জায়গা দ্বিতীয় স্ত্রী ও ৩ ছেলেকে দিয়ে দেন। এর মধ্যে কিছু সম্পত্তি শিক্ষক নিজে দিয়েছেন আর কিছু সন্তানরা কৌশলে লিখে নিয়েছেন। বর্তমানে ওই শিক্ষকের ১৫০ থেকে ২০০ শতক সম্পত্তি রয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবু আহমেদের ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে। এর মধ্যে প্রথম ঘরে নুর উদ্দিন নেছার, সোহেল, কাউছার, হেলাল উদ্দিন এবং দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার ও গোলশান আরাকে বঞ্চিত করে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সমুদয় সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেন।

এতে আবু আহমেদ জীবিতাবস্থায়ই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সন্তানরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তারা সম্পত্তির বিষয় সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন। এ সময় ভাই-বোনদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে কেউ একজন জরুরি সেবা ৯৯৯-তে কল করলে দাগনভূঞা থানার ওসি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে ওসি হাসান ইমাম বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তী সময়ে সমাধানের আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে লিখিত স্ট্যাম্প হলে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ওসি হাসান ইমাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দাফনে বাধা দেয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করি। পরবর্তী সময়ে সবাইকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সম্পত্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে।’

তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে না গেলে মরদেহ এভাবেই পড়ে থাকত বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর