ধলেশ্বরী নদীতে বরিশালগামী সুরভী-৭ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ডুবে গেছে একটি বাল্কহেড।
মুন্সীগঞ্জ এলাকায় নদীটিতে বুধবার রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি রাতে জানান, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
মুন্সীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. ইলিয়াস জানান, বালুবাহী বাল্কহেডটি ঢাকার ডেমরার দিকে আসছিল। লঞ্চের সঙ্গে সংর্ঘের পর এটি ৬ শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ৪ জন সাঁতরে তীরে ও আরেকজন একটি লঞ্চে উঠেছেন। তবে একজন নিখোঁজ আছেন। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সুরভী-৭ লঞ্চে ছিলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে রাতে। রাত ১১টার দিকে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। বাল্কহেডটি ডুবে গেলে কয়েকজন শ্রমিককে সাঁতার কেটে তীরের দিকে যেতে দেখা গেছে।
লঞ্চমালিক রিয়াজুল কবির বলেন, ‘অবৈধভাবে রাতে বাল্কহেড চালিয়ে নেয়া হচ্ছিল। সেটি লঞ্চকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে লঞ্চের সামনের দিকের অংশ ফেটে গেছে।’
তিনি জানান, লঞ্চটি নদীতীরে নোঙর করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন। তাদের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে সুরভী-৭ লঞ্চের আরেক যাত্রী মোসাদ্দেক হাসিব জানান, এই লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষের পর আরও একটি লঞ্চে ধাক্কা লাগে।
তিনি বলেন, ‘বাল্কহেডটির কোনো লাইট জ্বলছিল না। দ্রুতগতিতে চলা সুরভী-৭ এর সঙ্গে প্রথমে বাল্কহেডটির সংঘর্ষ হয়। সে সময় মানামী নামের আরেকটি লঞ্চ সুরভীকে ওভারটেক করতে গেলে এটিকেও বাল্কহেডটি ধাক্কা দেয়।
‘মানামীর পাশে আরও একটি বাল্কহেড ছিল, সেটি অল্পের জন্য রক্ষা পায়। দুই বাল্কহেডের মাঝ দিয়ে মানামী বের হয়ে যায়। সুরভীর পেছনেই ছিল পারাবাত-১৮ লঞ্চ। তবে সেটিতে ধাক্কা লাগেনি।’