বাংলা ভাষায় স্বীকৃত বাংলাদেশের জাতীয় ডোমেইন ‘ডট বাংলা’র (.বাংলা) সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এটি না হওয়া পর্যন্ত সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য ভালো অভিজ্ঞতা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোমবার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডট বাংলার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হলে সব ডোমেইন নাম, ইমেইল ঠিকানা ও সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনে সঠিকভাবে কাজ করবে।’
বিআইজিএফ চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিআইজিএফের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর ডট বাংলা (.বাংলা) ডোমেইন চূড়ান্ত বরাদ্দ পায় বাংলাদেশ; এর মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ডট বাংলা আইডিএনের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ ডোমেইন নিবন্ধন শুরু করে বিটিসিএল।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীরা স্থানীয় ভাষায় সম্পূর্ণভাবে নেভিগেট করতে পারে। ডোমেইন নাম শিল্পে প্রতিযোগিতা, ভোক্তাদের পছন্দ ও নতুন জেনেরিক টপ-লেভেল ডোমেইন সম্ভাব্যতা আনলক করারও চাবিকাঠি। তাই এখনই সময় সার্বজনীন স্বীকৃতির জন্য সিস্টেম প্রস্তুত করার।’
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিটিআরসি, বিটিসিএল ও ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নম্বরের (আইসিএএনএন) সমন্বিত কাজ জোরদার করার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনসালটেশন অন ইউনিভার্সাল অ্যাকসেপ্টেন্স (ইউএ) অফ ডট-বাংলা-তে চারটি প্রস্তাবিত বিষয় তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন, সহকর্মী বা অন্য কোনো রেজিস্ট্রি থেকে শিক্ষা নেয়া, নীতি এবং ইউএ লোকাল ইনিশিয়েটিভ ইউএএসজি স্টিয়ারিং কমিটিতে যোগ।
বক্তারা বৈশ্বিক স্টিয়ারিং কমিটির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।