শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংগঠনের পক্ষে একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচজন শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আর ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে বুধবার শহীদ দিবসের কর্মসূচি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে সভার সিদ্ধান্ত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন। আর ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে দুইজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
শহীদ মিনারের সব প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও সাবান রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মাস্ক না পরলে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি শহীদ দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানি করা হবে। পাশাপাশি দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
শহীদ দিবসে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহীদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহীদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকার রাজপথে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান এবং ঢাকা শহর সংলগ্ন নৌপথে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হবে।