নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের শিক্ষকরা কলেজে শিক্ষক হওয়ারও যোগ্য ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য দিদার-উল-আলম। তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগে সে সময় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুর্ভাগ্যের।
নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বুধবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
তার এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘সাবেক উপাচার্যের সময় নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এর ভিত্তিতে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে রিজেন্ট বোর্ডে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
‘কমিটি সেখানে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের জন্য রিজেন্ট বোর্ড আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল বাশার বলেন, ‘মন্তব্যটি শুনে আমি ব্যক্তিগতভাবে আহত হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে ষষ্ঠ ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে শিক্ষক হয়ে এ ধরনের মন্তব্য শোনা বেদনাদায়ক।
‘আর বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। বিগত সময়ের নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন প্রশ্ন উঠছে, বর্তমানে যেকোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যাতে পরবর্তী সময়ে আমাদেরকে আবার কোনো রকম প্রশ্ন বা তদন্তের সম্মুখীন হতে না হয়।’