বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৈমূরকে বহিষ্কার বিএনপির ভুল: জাফরুল্লাহ

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৫৬

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকার একজন প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। নির্বাচনের ১০ দিন আগে দল থেকে তাকে বের করে দিল। এটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’

বিএনপিকে আরেকটু চিন্তাভাবনা করে পা বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারকে দল থেকে বের করে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর কেন্দ্রে বুধবার এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা হয়েছে। সভার আয়োজন করে জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশন।

গত বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পড়ালেখা করা ও রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে এক ছাত্রদল নেতার রোষানলে পড়েছিলেন জাফরুল্লাহ। ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিএনপির নেতারাও।

ওই সময় ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক কাউসার জাফরুল্লাহকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের নেতাকে নিয়ে কথা বলবেন না। যদি বলেন, পরে কিছু হলে আমরা দায়ী থাকব না।’

ওই ‍হুঁশিয়ারির পরও বিএনপির সমালোচনায় দেখা গেল জাফরুল্লাহকে।

স্মরণসভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকার একজন প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। নির্বাচনের ১০ দিন আগে দল থেকে তাকে বের করে দিল।

‘এটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এটি তো পরেও করতে পারতেন। পরে যদি হতো, নির্বাচনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। তাহলে ওনার ২০ শতাংশ ভোট বাড়ত।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন তৈমূর আলম খন্দকার। ৬৬ হাজার ৯৩১ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এর আগে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিএনপি। তৈমূর হারান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ।

বিএনপি বড় দল হওয়ার দায়িত্বও বড় বলে মনে করেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ হচ্ছে রাস্তায় নামা। সম্মিলিতভাবে নামতে হবে। এখানে বিএনপির একটা বড় দায়িত্ব আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাছে আবেদন, আপনারা সবার সঙ্গে বসেন। আপনারা বড় দল, আপনাদের বড় দায়িত্ব আছে। দিন চলে যাচ্ছে। রাজনীতির সবাইকে নিয়ে বসেন। যেভাবেই হোক রাস্তায় নামেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘উনি তো বলেই দিয়েছেন, ৪১ সাল পর্যন্ত থাকতে চান। উনি যেদিন এই বক্তব্য দিয়েছেন, সেদিনই গণতন্ত্রের কবর হয়ে গেছে। ওনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর