বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারাগারে ছাত্রলীগ নেতার ‘সেলফি-বিলাস’

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৩৩

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ভুবন চন্দ্র দাস বলেন, ‘কোড অফ কন্ডাক্ট ইন দ্য কোর্টের ১৩ নম্বর ক্রমিকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- আদালতের ভেতরে ছবি তোলা, ভিডিও করা যাবে না। এ কাজ যারা করবে, তারা আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডনীয় অপরাধ করবে।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার মামলায় জামিন নিতে আদালতে যান বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ১৩ আসামি। বিচারক অন্যদের জামিন দিলেও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহারিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন হোসেন জনিকে কারাগারে পাঠান।

কেউ একজন আদালতের এজলাসেই মোর্শেদ ও আল-আমিনের ছবি তোলেন। কারাগারে নেয়ার পরও আরেকটি ছবি তোলা হয়। এরপর কারাগারের ভেতর সেলফিও তোলেন ওই দুজন।

নিজের ফেসবুকেই ছবিগুলো পোস্ট করেন মোর্শেদ শাহারিয়া। তাতে লেখেন, ‘নৌকার নির্বাচন করতে গিয়ে কারা বরণ করতে হলো আমাদের।’ (মূল পোস্টের বাক্য-বানান অপরিবর্তিত)।

মুহূর্তেই তাদের কর্মী-সমর্থকরা পোস্টটি ভাইরাল করে। এজলাস ও কারাগারে ছবি তোলা ও ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে মোর্শেদ নিজ অ্যাকাউন্টের পোস্টটি ডিলিট করে দেন। তবে তার লোকজনের পোস্টগুলো রয়ে গেছে।

এ ঘটনা বুধবার দুপুরের। ছাত্রলীগ সভাপতি নিজের অ্যাকাউন্টে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পোস্টটি দেন।

আদালতে ও কারাগারে কীভাবে তারা ছবি তুললেন এ প্রশ্ন করা হলে পরিদর্শক মারুফ আহমেদ বলেন, ‘আদালতের বাইরে থেকে তার (ওই নেতার) সমর্থকরা গোপনে ছবি তুলে নিয়ে যেতে পারেন। তবে হাজতখানার ভেতরে মোবাইল নিয়ে সেলফি তোলার কোনো সুযোগ নেই।’

হাজতখানার ভেতরে তোলা সেলফিটি দেখানো হলে তিনি বলেন, ‘হাজতখানার দায়িত্বে যেসব পুলিশ সদস্যরা ছিলেন, তাদের গাফিলতি থাকতে পারে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সহিংসতার মামলাটির বাদী তারিকুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আদালতের এজলাস থেকে শুরু করে হাজতখানার মধ্যেও তারা মোবাইল নিয়ে সেলফি তুলেছেন। ফেসবুকে আবার সেসব ছবি পোস্ট করেছেন। আর আমি এখন অনিরাপদ রয়েছি। অবশ্যই এসব বিষয় প্রশাসন বিবেচনা করবে।’

আদালতের ভেতরে ছবি তোলা বা ভিডিও করা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ভুবন চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, ‘কোড অফ কন্ডাক্ট ইন দ্য কোর্টের ১৩ নম্বর ক্রমিকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- আদালতের ভেতরে ছবি তোলা, ভিডিও করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে এ কাজ যারা করবে, তারা আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডনীয় অপরাধ করবে।’

২০২১ সালের ২২ মার্চ বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বামনা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুরুজ্জামান সোহাগ এ ঘটনায় বরগুনার বিচারিক হাকিম আদালত-১-এ মামলা করেন।

মামলায় বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন হোসেন জনিসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ১৩ আসামি বুধবার বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক রাসেল মজুমদার ১১ জনকে জামিন দেন, কারাগারে পাঠান মোর্শেদ ও আল-আমীনকে।

এ বিভাগের আরো খবর