সব শ্রেণি-পেশার মানুষ করোনা টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় এলেও এতদিন এর বাইরে ছিল ভাসমান মানুষরা। এবার তাদের টিকাদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামসহ সারা দেশে শুরু হচ্ছে এ টিকাদান কার্যক্রম। টিকা নিতে যেতে হবে না কোনো কেন্দ্রে। যেখানেই ভাসমান মানুষ, সেখানেই তাদের টিকা দিতে ছুটে যাবেন টিকাকর্মীরা। এ জন্য লাগবে না কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মসনদ।
সুবিধাবঞ্চিত বিশাল এ জনগোষ্ঠীর জন্য ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের ১ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা।
বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এ টিকাদান কার্যক্রমের কথা জানান চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ইলিয়াস হোসাইন।তিনি বলেন, ‘রেল ও বাসস্টেশন, ফুটপাতে থাকা ১২ বছর থেকে শুরু করে সব বয়সী শিশু ও নারী-পুরুষকে জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেয়া হবে। প্রতিদিন তিন হাজার ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের।
‘যদিও আমাদের কাছে ভাসমান মানুষের কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের সহায়তায় আশা করি চট্টগ্রামের প্রত্যেক ভাসমান মানুষ টিকা পাবেন। আমরা ১ লাখ ৮০০ টিকা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সম্প্রতি বুঝে পেয়েছি। টিকা প্রাপ্তিসাপেক্ষে এই টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে সকাল সাড়ে ১০টায় এ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিভিন্ন কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক, জাহাজ-লঞ্চ, বেদে, যাদের জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পাবেন। সরকার দেশের সব জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে চায়। তাই চট্টগ্রামের সব শ্রেণির মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’