তৈরি পোশাক খাতের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখতে বিদ্যমান উৎসে করহার আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
আগামী অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে এই প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে পোশাক খাতে উৎসে কর হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা রপ্তানির বিপরীতে পঞ্চাশ পয়সা কর কেটে রাখা হয়।
বিদ্যমান কর হার আগামী পাঁচ বছর যাতে পরিবর্তন না করে ,সে জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে বিজিএমইএ।
এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে পোশাক মালিকরা বলেন, উৎসে কর হার বাড়ালে বিশ্ববাজারে পোশাক খাত তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে এবং রপ্তানি ব্যাহত হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে পোশাক রপ্তানির বিপরীতে সরকারের দেয়া নগদ সহায়তায় আয়কর কর্তন না করার কথা বলেন তারা।
বিজিএমইএর অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ রাখা।
রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ছাপাখানা (প্রিন্টিং), কুরিয়ার বা এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, অডিট অ্যান্ড একাউন্টিং ফার্ম ফেয়ার ট্রেডের মতো পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট হতে অব্যাহতি দেয়া।
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য সাব-কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট আদায় না করার প্রস্তাবও দিয়েছে বিজিএমইএ।
এছাড়া কোম্পানির কর হারের পরিবর্তে স্ব স্ব শিল্প ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হারে কর আরোপ করা এবং রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার উপরে আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।