রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফিশারিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার একটি কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে ওই বিভাগেরই এক শিক্ষক। এ ঘটনায় পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মণ্ডল।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
ফেসবুকে প্রশ্নপত্র শেয়ার করা ওই শিক্ষক হলেন পরীক্ষা কমিটির সদস্য ইসতিয়াক হোসাইন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষা এবং প্রশ্নপত্রের বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির অনুমতি ব্যতিত কোনো কথা বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা সেই প্রশ্নপত্র বাতিল করে পরীক্ষা স্থগিত করেছি।
‘পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব। তিনি এটা লঙ্ঘন করেছেন। এটা অবশ্যই একটি অপরাধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৭ তারিখ এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আমরা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা জরুরি মিটিং করে এই প্রশ্নপত্র বাতিল করেছি। আপাতত ওই পরীক্ষা স্থগিত। এরই মধ্যে নতুন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেয়া হবে।’
জানতে চাইলে ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি এম মনজুরুল আলম বলেন, ‘পরীক্ষার সার্বিক বিষয় দেখাশুনা করে পরীক্ষা কমিটি। তবে, আমি বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্নপত্র মোবাইলে সংরক্ষণ করা তার উচিত হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদেরকে এখনও জানানো হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি আমাদের কাছে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’