এক পায়ে লিখে জেএসসি ও এসএসসির পর এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পাওয়া তামান্না আক্তার নূরাকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে।
বঙ্গবন্ধুকন্যার পরামর্শ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে শিক্ষাবৃত্তি পেতে আবেদন করেছেন তামান্না।
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিব হাসান বুধবার সকাল ৯টার দিকে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তামান্নার বাড়িতে গিয়ে এই আবেদন গ্রহণ করেন।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না নূরা।
আবেদন করার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তিনি সব সময় আমার পাশে আছেন। তার পরামর্শে আমি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টে আবেদন করেছি। আমার স্বপ্নপূরণে পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইল।’
গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা তামান্নার স্বপ্ন পূরণে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার সঙ্গে কথা বলতে পেরে দারুণ খুশি তামান্না।
তামান্না বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা বলতে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। প্রবল মধুর আবেগে থরথর করে কাঁপছিল আমার ভেতরটা। অনুভূতিটা আপনাদের বোঝাতে পারব না। এতটাই আনন্দিত হয়েছিলাম, হাসতে পারিনি। কেঁদে ফেলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিয়মিত ভালোভাবে পড়াশোনা এবং নিজের যত্ন নিতে বলেন।
‘এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে একটা আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে সব ধরনের সহযোগিতা দেবেন বলে আমাকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তামান্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা। আশা করি, তামান্নার স্বপ্ন পূরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।’