রিকশাচালক সেজে বসে ছিলেন ছিনতাইকারী। সেই রিকশাতে যাত্রী হিসেবে উঠে বসেন এক শিক্ষার্থী। পথে নির্জন স্থানে রিকশা থামিয়ে কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন বের করতে বলেন রিকশাচালক। সে সব না দেয়ায় শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীর বুকে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে রিকশাচালক সেই ছিনতাইকারী।
পরে স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ময়মনসিংহ শহরের আনন্দ মোহন কলেজের ঈদগাহ মাঠের বিপরীতে রাত ১০টার পর এ ঘটনা ঘটেছে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম খলিল৷ তিনি ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের দর্শন বিভাগ থেকে সম্প্রতি অনার্স শেষ করেছেন। বাড়ি ধোবাউড়া উপজেলায় হলেও পড়াশোনার জন্য কলেজ রোড এলাকার একটি মেসে থাকেন খলিল।
ছিনতাইকারীর নাম আকরাম হোসেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া গরুর খোয়ার এলাকায়।
থানার পরিদর্শক ফারুক হোসেন বলেন, ‘মানিব্যাগ না দেয়ায় অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তির পর ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তখন শিক্ষার্থীর সজোরে ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ছিনতাইকারী রিকশাচালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তিনি এখন চিকিৎসাধীন।’
খলিলের সহপাঠী ফুয়াদ মিয়া বলেন, ‘শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিন ব্যাগ বি-পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন ছিল। আটক ছিনতাইকারীকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
ফারুক হোসেন বলেন, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আহত শিক্ষার্থীর বাবা আসাদুজ্জামান আকন্দ বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হবে।’
পুলিশ জানায়, আটক ছিনতাইকারীর সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত কি না দেখা হচ্ছে। থাকলে তাদেরকেও আটক করা হবে।