আওয়ামী লীগের কর্মীরাই নৌকায় ভোট দিতে চায় না বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকে জনসমর্থন হারিয়েছে।’
রাজধানীর বনানীতে রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরাই এখন আর নৌকায় ভোট দিতে চায় না। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর বৈষম্য দেশের মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের নাম এখন মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার পাশে।’
এসময় বিএনপির সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, ‘জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও বিএনপি এখন ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে। গণমানুষের কল্যাণে বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার নয়। আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি ও অপরাজনীতি আরও বেড়ে যাবে।’
‘দেশের মানুষ বুঝেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দিয়ে মুক্তি মিলবে না। দেশের মানুষ এই দুটি দলের বিপরীতে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।’
নতুন ইসি প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা কমিশন গঠনে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত যদি একটি দলের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হয় তবে তা হবে হতাশাজনক।’
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ৬ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। এর পর কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চাওয়ার পর সেটা গণমাধ্যমে প্রকাশও করেছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা না দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন কমিশন আইন চেয়েছিলাম। কিন্তু, ইসি গঠনে যে আইনটি হয়েছে তা হচ্ছে নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস। দেশের মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়।’
তাই নির্বাচনের আগেই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা আর জোটে পা দেব না। আমরা এককভাবেই তিনশ’ আসনে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নির্বাচনের জন্য কোনো সমাধান নয়। নির্বাচনের জন্য ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। ক্ষমতাহীন কমিশন দিয়ে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’