চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন; তারা যে দুই প্রার্থীর হয়ে সহিংসতায় জড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে র্যাব নয় বরং নির্বাচন কমিশনারকেই (ইসি) ব্যবস্থা নিতে হবে।
ওই মামলার আটজনকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।
গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়ান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আক্তার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের সমর্থকরা। এতে এক কিশোরসহ দুজন নিহত হন।
যারা সাতকানিয়ায় সহিংসতা করেছেন তারা দুই প্রার্থীর সমর্থক বলে জানিয়ে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু প্রার্থীরা তাদের বলেছে এমন নয়, অনেক ক্ষেত্রে সমর্থকরা অতি উৎসাহী হয়ে যান। তারা তাদের প্রার্থীদের জিতিয়ে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালান।’
প্রার্থীরা হামলার নির্দেষ দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা জানি না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যকিরা আমাদের এ রকম কিছু বলেনি। প্রার্থীরা তাদের ছবি দেখে বলছেন, তারা আমাদের লোক না। যাদের গ্রেপ্তার করেছি তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারী বলেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের পদের তথ্য পাইনি।’
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘বিভিন্নভাবে তারা দুই প্রার্থীরই অনুসারী ছিলেন। তারা তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন। এসব নির্বাচনে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ বা চক্র থাকে। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য, অনেক ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে তারা এই ধরনের কেন্দ্র দখল বা কাজ করে থাকে। কোন প্রার্থী নির্দেশনা দিয়েছে কি না তারা আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেটা জানাননি।’
এই সহিংসতায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উৎস কী বা কারা সরবরাহ করেছে, এ বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা যেটা জেনেছি কায়েস এই অস্ত্র একজনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন। তবে যার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিল তিনি আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আত্মগোপনে যাওয়ার কারণে এই অস্ত্রগুলো পুকুর পাড়ে মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলেন।’