২০৪১ সালের মহাপরিকল্পনায় আধুনিক পয়োনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের শহরগুলোকে বন্যামুক্ত করার ওপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
বাংলাদেশে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই পরিকল্পনার একটি বড় অংশ জুড়ে চট্টগ্রাম আছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ‘অ্যাসেসিং রিস্কস ইন দ্য সিটি অফ চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ইউজিং দ্য ক্লাইমেট অ্যান্ড ওশান রিস্ক ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স (করভি)’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে আইইউবি, জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন এবং ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। তাই জাপানের ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে আইইউবি।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করভি-এর গবেষণা প্রধান এবং আইইউবির সেন্টার ফর বে অফ বেঙ্গল স্টাডিজের উপপরিচালক ড. এমাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে করভির গবেষণা ও মূল্যায়ন থেকে যা পাওয়া গেছে তা নীতিনির্ধারক এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার যেসব দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতেও চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম।’
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জেরেমি ব্রুয়ার, সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. আতসুশি সুনামি, ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মিকো মাইকাওয়া, ডিরেক্টর ড. তমোনারি আকামাতসু, বাংলাদেশের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।