যুদ্ধাবস্থার মধ্যে থাকা ইউক্রেনে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার। তবে কাউকে ফিরে আসতে জোর করা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে ফিরে আসতে বাধ্য করতে পারব না। তবে কেউ ফিরে আসতে চাইলে ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড ও অন্যান্য নিকট প্রতিবেশী যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে, সেখান থেকে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি ইয়েমেনে যখন যুদ্ধাবস্থা শুরু হয়, তখন সেখানকার বাংলাদেশিরা সরকারের প্রস্তাব মেনে বা সহায়তা নিয়ে দেশে ও অন্য নিরাপদ অবস্থানে ফিরে এসেছিলেন। আবার লিবিয়ার ক্ষেত্রে দেখেছি সেখানে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশি সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফেরত এসেছিলেন। আবার অনেকেই ফেরত আসেননি। আমরা কাউকে আসতে বাধ্য করতে পারি না।’
এর আগে ইউক্রেনে অবস্থারত বাংলাদেশিদের দ্রুত সে দেশ ত্যাগ করার অনুরোধ জানায় প্রতিবেশী পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস। কিয়েভে দূতাবাস না থাকায় পোল্যান্ডের ওয়ারশ থেকেই ইউক্রেনে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে ঢাকা।
পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে মঙ্গলবার বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে বসবাসরত সম্মানিত প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। অন্য কোনো দেশে যেতে না পারলে তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারেন। ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ হালনাগাদ করা হবে।’
অত্যাবশ্যকীয় না হলে ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে দূতাবাস। পাশাপাশি ইউক্রেনে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে তাদের অবস্থানের তথ্য দূতাবাসকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক জরুরি পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এতে ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়।