দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মঙ্গলবার মামলাটি গ্রহণ করে এ আদেশ দিয়েছে।
সিআইডিকে ১৫ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
এর আগে ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর, ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেটা অনলাইনেও দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সারোয়ার হোসেনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।’
এ বিষয়ে সারোয়ার হোসেন মামলায় জানান, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি পিটিশন শুনানিতে অংশ নেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর ‘এসব ষড়যন্ত্র কিসের আলামত, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামাতে তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী চক্র আড়ালের রহস্যময় সিন্ডিকেট কারা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ওইদিন বাংলা ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনেও তাকে নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে লেখা হয় বলে তিনি মামলায় অভিযোগ করেন। বলেন, ‘আসামিরা ইচ্ছা করে আপত্তিকর ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। পরে তা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ।’