নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করার বিষয়ে পরামর্শ নিতে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে চতুর্থ দিনের মতো বৈঠক করেছে অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আপিল বিভাগের বিচারক ও সার্চ কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।
এদিন দেশের চার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে নিয়ে বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। এই বৈঠকে আট জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও চারজন অংশ নেননি।
১৩তম ইসি গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তিগত পর্যায় ও বিশিষ্টজনদের সুপারিশে পাওয়া ৩২২টি প্রস্তাবিত নাম থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে অনুসন্ধান কমিটি। এ জন্য কমিটি সময় পাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এরই মধ্যে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কমিশনারহীন নির্বাচন কমিশন থাকতে পারে; এতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। অতীতেও চারবার এ রকম ফাঁকা ছিল নির্বাচন কমিশন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তিন দফায় ৬০ বিশিষ্টজনের সঙ্গে সার্চ কমিটি বসার আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রথম দিন শনিবার প্রথম দফায় ২০ বিশিষ্ট নাগরিক আমন্ত্রণ পেলেও সাড়া দিয়েছেন মাত্র ১৪ জন।
দ্বিতীয় দফায় ঠিক কতজন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ দিয়েছিল সার্চ কমিটি তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে সে দফায় ১১ জন নাগরিক এতে সাড়া দিয়েছিলেন। দুই দফায় ২৫ নাগরিক সার্চ কমিটির সঙ্গে অংশ নেন।
রোববার সার্চ কমিটি ২৩ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানালে ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক সে বৈঠকে অংশ নেন। সব মিলিয়ে তিন দফায় ৪৩ নাগরিক নতুন কমিশন গঠন নিয়ে সার্চ কমিটিকে সুপারিশ জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
বাকি যে চার বিশিষ্টজন বৈঠকে অংশ নেননি তারা হলেন ইংরেজি দৈনিক নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবীর, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ এবং ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান।