পাওনা টাকা আদায়ে চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় থাকা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় পাওনা আদায় কঠিন হয়ে পড়বে জানিয়ে মাঠপর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। দ্রুত এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে মাঠ কর্মকর্তাদের তাগিদ হয়েছে চিঠিতে।
অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রায়হানুল কবীরের সই করা এক চিঠি সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অনাদায়ী চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর সময় অতিবাহিত হলেও স্ব স্ব বিভাগের জেলার আদালতে বিচারাধীন অনাদায়ী চালকল মালিকদের নিকট থেকে সরকারি পাওনা আদায়ের কোন অগ্রগতি নেই। মামলার কার্যক্রম এভাবে চলমান থাকলে অবশিষ্ট সরকারি পাওনা টাকা আদায় দুরূহ হয়ে পড়বে।’
‘স্ব স্ব বিভাগের জেলাগুলোর আদালতে অনাদায়ী চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলাগুলো নিয়মিতভাবে তদারকির লক্ষ্যে তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিবিড় তদারকি করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদেরকে নির্দেশনা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা লিখিতভাবে মামলা তদারকি কর্মকর্তাকে চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেবেন। তদারকি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে বিজ্ঞ সরকারি কৌশলীকে চলমান মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করবেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এ বিষয়ে মামলা তদারকি কর্মকর্তা প্রতি মাসেই মামলা তদারকি সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর জমা দিবেন। মামলা তদারকিতে শৈথিল্য প্রদর্শন করলে এবং এ নিয়ে কোন জটিলতার সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট মামলা তদারকি কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও বিভাগীয় প্রধান হিসাবে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জবাবদিহি করতে হবে।’
এছাড়াও চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায়ে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়টি খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর থেকে মাসভিত্তিক পাঠানো প্রতিবেদনে অন্তর্ভূক্ত না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় চিঠিতে।
এতে বলা হয়, ‘স্ব স্ব বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলার অনাদায়ী চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারি পাওনা টাকা আদায়ে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়টি তার দপ্তর থেকে মাসভিত্তিক পাঠানো প্রতিবেদনে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বলা হয়েছিল।
‘কিন্তু তার দপ্তর থেকে মাসভিত্তিক পাঠানো প্রতিবেদনে মনিটরিংয়ের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না। ফলে অনাদায়ী চালকল মালিকদের কাছে সরকারি পাওনা আদায়ে নেয়া কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাচ্ছে না। এখন থেকে আলোচ্য বিষয়ে স্ব স্ব বিভাগ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে তদারকির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’