অসদাচরণ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
জেলা প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের অপসারণের দাবি করেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের আয়োজনে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সাবেক কমান্ডার আইয়ুব আলী।
এ সময় তিন সাবেক কমান্ডার নিজাম উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার ও আলকাছ উদ্দিন এবং সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রব তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরসহ উপজেলার অন্তত ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, গত বছর ১ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেন। এ সময় চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার নির্ধারিত আসন থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া গত বছরের জুলাই মাসে আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করেন।
এ নিয়ে বৈঠক হলে জাহিদুল ইসলাম কটূক্তি করে বলেন, ‘আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করে আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছেন।’
মুক্তিযোদ্ধারা আরও জানান, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাহিদুল ইসলাম হোগলা ইউনিয়নের যুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার আব্দুর রাশিদকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনি কি যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন?’
একই সঙ্গে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে সালিশে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, এসব বিষয় নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচারও করেছেন। এ ছাড়া জাহিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এর আগেও একাধিবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন।
তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও অপপ্রচার দাবি করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরল অনুভূতিকে ব্যবহার করে একটি মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারও সঙ্গে কোনো ধরনের অসদাচরণ করিনি। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোনো কটূক্তিও করিনি।’