ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে কাজ শেষে ফেরার পথে জাতিসংঘের যে পাঁচ কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হয়েছেন তার মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। তার নাম এ কে এম সুফিউল আনাম।
ইয়েমেনের আল কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা ওই কর্মকর্তাদের অপহরণ করেছে বলে দাবি করেছে। পাঁচ কর্মকর্তাকে ছেড়ে দিতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ ও সরকারি বাহিনীর হাতে আটক আল কায়েদার সদস্যদের মুক্তির দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।
সুফিউল আলম দুই দশক থেকে জাতিসংঘ কর্মরত। তিনি সংস্থাটির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পাঁচ কর্মকর্তাকে উদ্ধারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভাগ কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে উদ্ধারে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
এ ধরনের অপহরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের দেয়া তথ্যের বাইরে আর কোনো তথ্যের ওপর নির্ভর করার সুযোগ নেই। আবার উদ্ধার কার্যক্রমও কেবল জাতিসংঘই চালাতে পারে বলে জানায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
জাতিসংঘের অন্যতম মুখপাত্র গিকি রাসেল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশ থেকে পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনই ইয়েমেনের। শুধু সুফিউল আনাম বিদেশি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ কর্মকর্তা অপহরণের শিকার হন।
সুফিউল আনাম ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি জাতিসংঘে যোগ দেন।
কিছুদিনের মধ্যেই তার অবসরে যাওয়ার এবং ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা। তার স্ত্রী কাজী নাসরিন আনাম ঢাকায় থাকেন। তাদের দুই সন্তানই কানাডাপ্রবাসী।