তাদের কেউ ভিক্ষুক, কেউ রিকশাচালক, কেউ আবার ট্রান্সজেন্ডার। এক শিক্ষক তার জন্মদিনে এমন মানুষদের খুঁজে বের করে তাদের হাতে তুলে দেন গোলাপ ও রজনীগন্ধার স্টিক। স্টিকে মোড়ানো ছিল কিছু টাকাও।
নিজের জন্মদিনে একটু ভিন্নভাবে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছেন কুমিল্লা নগরীর চাঁনপুর এলাকার যুবক সামিউল আলম জাহেদ। কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক তিনি।
সোমবার ভালোবাসা দিবসে তার দেয়া ফুল ও টাকা পেয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসেন অসহায় মানুষগুলো। এ ধরনের ভালোবাসা পেয়ে তাদের কেউ কেঁদেছেন, কেউ আবার হাত তুলে দোয়া করেছেন।
জন্মদিন ও ভালোবাসা দিবসে সাধারণ মানুষদের মধ্যে ফুল ও টাকা বিতরণ করেন শিক্ষক সামিউল আলম। ছবি: নিউজবাংলা
সামিউল একজন ভাস্কর্য শিল্পীও। গত বছর নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত পঞ্চম জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে চক দিয়ে ভাস্কর্য বানিয়ে জাতীয় পুরস্কার পান।
ভিন্নভাবে ভালোবাসা দিবসে জন্মদিন পালনের বিষয়ে নিউজবাংলাকে সামিউল বলেন, ‘দিবসটি প্রতিবছরই ব্যতিক্রমভাবে পালনের চেষ্টা করি। গতবছর পথশিশুদের সঙ্গে চকলেট ও কেক দিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছি। এ বছর অসহায় মানুষদের সঙ্গে পালন করেছি।
‘ফুল পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত হয়েছে। ফুলের সঙ্গে কিছু টাকা পেয়ে অনেকে আনন্দে কেঁদেছেন। দৃশ্যটা আমার কাছে স্বর্গীয় মনে হয়েছে।’
ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যেও বিতরণ করেন ফুল ও টাকা। ছবি: নিউজবাংলা
তার এ উদ্যোগের বিষয়ে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, ‘সামিউল একজন সৃজনশীল শিক্ষক। চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর হিসেবে তিনি বেশ পরিচিত। ক্লাসে পাঠদানেও অতুলনীয় সামিউল।’