পুরোনো নীল রঙের কোচ বদলে নতুন রূপে, নতুন সাজে সম্পূর্ণ সাদা কোচে যাত্রা শুরু করেছে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস।
ঢাকা-নোয়াখালী রুটের নতুন উপকূলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিসহ ১৬টি আধুনিক কোচ যুক্ত করা হয়েছে।সোমবার কমলাপুর স্টেশনে নতুনভাবে সাজানো সাদা কোচের উপকূল এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে রেলের নতুন কোনো কোচ নেই। তাই সাদা চাইনিজ কোচ দিয়ে উপকূল এক্সপ্রেসের নতুন চলাচল শুরু হলো। দেশে নতুন কোচ এলে উপকূল এক্সপ্রেসে নতুন কোচ যুক্ত হবে। আগে এই ট্রেনে এসি কোচ ছিল না, এবারই যুক্ত করা হলো।
তিনি বলেন, ১৬ কোচের উপকূল ট্রেনে মোট আসন থাকছে কমপক্ষে ৭৮৯টি। এর মধ্যে এসি চেয়ার ৩৪৯টি ও শোভন চেয়ার ৪৪০টি। উপকূল এক্সপ্রেস নোয়াখালী থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকা থেকে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে ছেড়ে নোয়াখালী পৌঁছে রাত ৯টা ২০ মিনিটে।
রেলমন্ত্রী বলেন, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে রেলওয়েকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রেলের টিকেটিং সিস্টেম আরও উন্নত করা হচ্ছে। দেশের সব রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এতদিন পুরোনো বগিতে চলছিল উপকূল এক্সপ্রেস। এই রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক বগি যুক্ত করা। রেলওয়ে সম্প্রতি বগি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এখন থেকে উপকূল এক্সপ্রেসে গার্ড ব্রেক ও ডাইনিংয়ের জন্য একটি, এসি চেয়ার ছয়টি, নন-এসি চেয়ার সাতটি ও পাওয়ার কার বগি থাকবে।
নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।সোমবার সাদা রূপ পেয়েছে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেসও। ট্রেনটিতে ১৪টি সাদা বগি যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও পাঁচটি শোভন চেয়ার বগি রয়েছে।
তিন ট্রেনের সূচি বদল
সোমাবার থেকে উদয়ন, বিজয় ও পাহাড়িকা ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৯টায়, ময়মনসিংহ পৌঁছাবে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে, সিলেট পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট ছাড়বে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে ভোর ৫টায়।